বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ১৯২৯ অনুসারে বাংলাদেশে ছেলে ও মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স যথাক্রমে ২১ ও ১৮ বছর । ছেলে বা মেয়ে কারো বয়স আইনে নির্ধারিত বয়সের চেয়ে কম হলে সে বিয়ে বাল্যবিবাহ হিসাবে গণ্য। ছেলে বা মেয়ে যার ক্ষেত্রেই ঘটুক না কেন, বাল্যবিবাহ মানবাধিকারের সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন। এটি শিশুদেরকে কখন এবং কাকে বিয়ে করবে সে অধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত করে। সার্বজনীন মানবাধিকার সনদ ১৯৮৪-তে বিবাহের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছায়, পূর্ণ সম্মতি দানের অধিকারকে স্বীকার করে বলা হয়েছে, ‘একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ব্যক্তিকে অবশ্যই মানসিকভাবে পরিপক্ক হতে হবে’।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহ মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার বিষয়ে ২০১৪ সালে ইংল্যান্ড অনুষ্ঠিত গার্ল সামিটে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। ইউনিসেফের পরিসংখ্য্যান অনুসারে বাংলাদেশে ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিবাহের হার ২০০৬ ও ২০১১ সালে যথাক্রমে ৭৪% এবং ৬৬% ছিল। যা বিশ্বের সর্বাধিক বাল্য বিবাহ সংঘটিত হয় এরুপ দেশগুলোর একটি। ঐ সংস্থার তথ্য অনুসারে বর্তমানে (২০১৫ সাল) বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের হার ৫২% ,যা আগের চেয়ে অনেক নিম্নগামী হয়েছে। বাল্যবিবাহের উচ্চ হারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ২০১৫ তে ৮মে নেমে এসেছে । ২০০৬ তে বাল্যবিবাহের হার যেখানে (১৮র নীচে) ৭৪% ছিল বর্তমানে তা ৫২% এ এসে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে এখানে ২টি বিয়ের মধ্যে ১টি বাল্যবিবাহ।
গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট (জিআইইউ) ২০১২ সালে গঠিত হওয়ার পর উদ্ভাবনী উপায়ে বাল্যবিবাহের হার নিরোধে কাজ করে আসছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস