জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সব ধরনের সেবা স্বল্প সময়ে, স্বল্প মূল্যে ও হয়রানিমুক্ত উপায়ে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০১১ সালের ১৪ নভেম্বর পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা ই-সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয় । রেকর্ডরুমের পর্চা থেকে শুরু করে সব ধরনের সেবা পেতে জনগণ এখন সরাসরি ই-সেবাকেন্দ্রে এসে, ডাকযোগে অথবা অনলাইনে জেলা ওয়েব পোর্টাল থেকে আবেদন করতে পারছে।
ই সেবা কেন্দ্রের কার্যপদ্ধতি
সেবা গ্রহীতা ই সেবা কেন্দ্রে সরাসরি এসে বা ডাকযোগে এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে ইউডিসি হতে বা জেলা ওয়েবপোর্টালের মাধ্যমে (নাগরিক, দাপ্তরিক ও নকল) আবেদন করতে পারেন। আবেদন গ্রহন করার পর আবেদনকারীকে মেশিনের দ্বারা রশিদ প্রিন্টের রিসিভ নম্বর তার মোবাইল নম্বর বা ই-মেইলে প্রেরণ করা হয়। যার মাধ্যমে আবেদনকারী তার আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারে।
ই-সেবা কেন্দ্রে গৃহিত সকল নাগরিক, দাপ্তরিক আবেদন সমূহ তাৎক্ষনিকভাবে ই ফাইলের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের বরাবর প্রেরণ করা হয়। তিনি উক্ত আবেদনসমূহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বরাবর ই-ফাইলের মাধ্যমে প্রেরণ করেন।পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট শাখা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ বা নিষ্পত্তি করে।ফলে এ সমস্ত ডিজিটাল নথি প্রচলিত নথির তুলনায় অতি দ্রুত নিশ্পত্তি হয়।
অপরদিকে রেকর্ডরুমে সকল নকল আবেদন জেলা ই-সেবা কেন্দ্রে গৃহিত হবার পর ঢাকা হতে প্রদত্ত টেমপ্লেটের মাধ্যমে সরাসরি রেকর্ডরুমের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা /সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট প্রেরণ করা হয়।অতঃপর আবেদনকারীকে কোর্টফি সরবরাহের পর বিধি মোতাবেক নকল সরবরাহ করা হয়।
জেলা ই-সেবা কেন্দ্রের সেবাসমূহ
১. জেলা ই সেবা কেন্দ্রে একটি হেল্পডেসক রয়েছে। একজন নাগরিক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কোন সেবার জন্য কোন শাখায় বা কোথায় যেতে হবে সংশ্লিষ্ট রেজিস্টারভুক্ত করে তাকে তথ্য প্রদান করা হয়।
২. জেলা ই সেবা কেন্দ্র হওয়ার ফলে জেলা প্রশাসন দ্রুত যে কোন সময় সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ফলে মানুষকে কোন সেবার জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয় না।
৩. সব আবেদন সার্ভারের ডাটাবেজে জমা হয় বিধায় এটি ডিজিটাল পদ্ধতিতে কম্পিউটারে সংরক্ষিত থাকে।প্রয়োজনে পরবর্তীতে তা কাজে লাগানো যায়।
৪. ই-ফাইলিং এর কারনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সকল কার্যক্রম স্বচ্চতা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা হয়েছে।
৫. অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থানের কর্মসুচির আবেদন জেলা ই- সেবা থেকে করা হয়।
৬. এছাড়া বন্ধুকের লাইসেন্স প্রাপ্তি ও নবায়ন,ইট-ভাটার লাইসেন্স ,সার বীজ,ব্যবসার লাইসেন্স ,খাস জমির বন্দোবস্ত,হাট বাজার,জলমহাল ও যে কোন প্রত্যয়নের জন্য আবেদন করা যায়।
৭. সরাসরি ডাকযোগে বা ইমেইলে আবেদন করা যায়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস