মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ
পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সর্ব উত্তর দিকে বুড়িরচর গ্রামে বস্থিত আকন বাড়ি। দুশো বছরের পুরানো এই ঐতিহ্যবাহী বড়ির সামনে উঠোনে প্রায় শতবর্ষীয় ঐতিহ্যবাহী ‘‘মমিন মসজিদ’’। সম্পুর্ণ কাঠের কারম্নকাজ দিয়ে তৈরি এই মসজিদইি শিল্পকর্মের এক অপূর্ব নির্দশন, যা ইন্দো-পারসকি আর ইউরোপীয় ধারায় স্থপতির নিজস্ব মৌলিক উৎকর্ষের মিশ্রণে তৈরি এক নতুন স্থাপত্য। টুকরো টুকরো কাঠ শিল্পকর্মের জ্যামিতিক বিন্যাসে গড়ে তোলা হয়েছে এক নৈসর্গ অবয়ব। এটি সংরক্ষণের জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ১৭ এপ্রিল ২০০৩ তারিখের প্রজ্ঞাপনমূলে ‘‘সংরক্ষিত প্রত্নসম্পদ’’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে তাদের তালিকাভূক্ত করেছে। মূলতঃ লোহাকাঠ ও সেগুনকাঠ মসজিদ তৈরিতে ব্যবহূত হয়েছে। খুঁটি ও আড়াগুলো লোহাকাঠের তৈরি। কাঠের মুল অংশ সংগ্রহ করা হয়েছে মায়ানমার, ত্রিপুরা ও আসাম থেকে। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ১৬ হাত, প্রস্থ ১২ হাত এবং উচ্চতা হলো ১৫ হাত। এর মাঝখানে কোন পিলার বা খুঁটি নেই। মসজিদের চারিদিকে অংকন লেখা ‘‘ক্যালিগ্রাফি’’ ইসলামিক আর্টের একটি শক্তিশালী রুপ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস